পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রতিষ্ঠান বিকাশের এজেন্টের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (১ নভেম্বর) রাতে উপজেলার বটতলা এলাকা থেকে মো. মিজান মীরা (৪০) নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযুক্ত মিজান মীরা উপজেলার দক্ষিণ মির্জাগঞ্জ গ্রামের মো. সোবাহান মীরার ছেলে। ভুক্তভোগী বিকাশ এজেন্ট হলেন বটতলা এলাকার মো. রাসেল। তিনি ওই রাতেই মির্জাগঞ্জ থানায় মিজান মীরা ও কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের কালাগাছিয়া গ্রামের মো. ফেরদৌস আলম ছগীর (৪৫) কে আসামি করে মির্জাগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই রাতে মিজান তার টাকা আসবে বলে রাসলের দোকানে গিয়ে তার বিকাশ নম্বর চান। বিকাশ নম্বর দেওয়ার পরে রাসেলের বিকাশ নম্বরে ৪-৫টি মেসেজ আসে। মেসেজে আসা পিন নম্বরগুলো দোকানদারের কাছে জানতে চান মিজান। পিন নম্বর দিতে রাজি না হলে কিছুক্ষণ পর দোকানদারের নম্বরে ফোন আসে। ফোন রিসিভ করলে বিকাশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বলা হয়, পিন নম্বর না দিলে তোমার (রাসেলের) বিকাশ নম্বর ৯ মাস ৯ দিন বন্ধ করে দেওয়া হবে। এক পর্যায়ে সন্দেহ হলে রাসেল পুলিশকে খবর দেয়। তখন মির্জাগঞ্জ থানার এসআই সুমন মজুমদার মিজানকে গ্রেফতার করে।
মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, ‘মিজানকে জিজ্ঞেসাবাদ করা হয়েছে। সে জানিয়েছে, এর আগে প্রতারণার মাধ্যমে তারা এভাবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ২-৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ছগীরের নির্দেশনায় এসব কাজ করে বলে জানিয়েছে সে। মিজানকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ছগীর ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।’
Leave a Reply